ভারতীয় সমাজ পুরুষতান্ত্রিক, ছোটবেলা থেকে মা-কাকিমাদের মুখে হয়তো এমনটাই শুনে আসছেন। কিংবা, সমাজে মেয়েদের অবহেলার বেদনাদায়ক কাহিনী নিজেরে জীবন সঙ্গিনীর মুখে শুনে শুনে কান পচে গিয়েছে। ভারতীয় সমাজে মেয়েরা অবহেলিত, এ কথা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলেই ধর্ষণ বা বধূ নির্যাতনের খবর মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার উপক্রম। এহেন পুরুষ-শাসিত সমাজে পুরুষরাই কিনা অত্যাচারিত, অবহেলিত। এমনটাই দাবি, বারাণসীর এই ১৫০ জন পুরুষের। তাদের দাবি, সমাজে নারীবাদিদের আধিক্যের ফলে ক্রমশ সংকুচিত হয়ে উঠছে পুরুষদের স্বাধীন স্বত্ত্বা।
নারীবাদের নামে সমাজে পুরুষ-বিদ্বেষ চলছে। এ অভিযোগ অবশ্য নতুন কিছু নয়। বারাণসীতে পুরুষদের একটি সংগঠনও তৈরি হয়েছে নারীবাদীদের বিরোধিতা করে। সংগঠনটির নাম ‘ভারতীয় পরিবার বাঁচাও।’ এই সংগঠনটির উদ্যোগেই অভিনব শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বেশ কিছু সমাজসেবীও। বারাণসীর বিখ্যাত মাণিকতলা ঘাটে প্রথা মেনে নিজেদের বিয়েরই শ্রাদ্ধ করলেন ওই ১৫০ জন।
‘বিয়ের শ্রাদ্ধ’ সেটা আবার কী জিনিস?
অংশগ্রহণকারীদের মতে, নারীবাদের দাপটে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠান এখন মৃত। তাই এই প্রতিষ্ঠানের শেষকৃত্য নিজেদের দায়িত্বে করতে চান তারা। গঙ্গার ঘাতে রীতিমতো পিণ্ডদান করে সেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
আয়োজক সংস্থার এক কর্তার কথায়, “আমরা এমন এক সমাজ চাই না যেখানে পুরুষরাই শাসন করবে। আমরা চাই মেয়ে এবং ছেলেরা সমনাধিকার পাক। কিন্তু সমনাধিকারের নামে কিছু মেয়ে এত বাড়াবাড়ি করছে যাতে রীতিমতো বিদ্বেষ বলা যায়। এই বিদ্বেষের জন্যই বহু মানুষের সংসার ভাঙছে। আমরা ভারতীয়দের পরিবার বাঁচাতে চাই, তাই উদাহরণ স্থাপন করতে এই উদ্যোগ। আমরা পুরুষদের অধিকারের জন্য লড়ছি, আমরা মেয়েদের প্রতি পক্ষপাতের বিরুদ্ধে লড়ছি।”
Source, here.